বিশ্রামহীনতা মানুষের জীবনে শারীরিক বা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত কর্মব্যস্ত জীবনে ক্লান্তি বা অবসাদ আসা খুবই স্বাভাবিক। তাই কাজের পাশাপাশি প্রয়োজন রয়েছে বিশ্রামেরও। ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে অবসাদ বা ক্লান্তি শরীর ও মনকে সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অবসাদ কমানোর জন্য এবং জীবনের গতিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য নিজেকেই গ্রহণ করতে হবে কিছু পদক্ষেপ। চলুন জানা যাক ক্লান্তি দূর করতে সহজ ১১ টি উপায় –
ব্যায়াম-
সহজেই অল্প সময়ে ক্লান্তি দূর করার উল্ল্যেখযোগ্য একটি উপায় হলো ব্যায়াম। ব্যায়াম করলে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গভীরভাবে শ্বাস টেনে তারপর ঠোঁটাকে গোল করে দম ছাড়লে ক্লান্তভাব কমে যায়।
প্রিয়জন সাথে কথা-
কর্মব্যস্ততায় ক্লান্তি লাগলে প্রিয়জনকে ফোন করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্লান্তি কমে যায়। তবে এর জন্য সঠিক মানুষ নির্বাচন করা জরুরী। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মা কে ফোন দিলে ফলাফল কার্যকরী হয়। তাই কর্ম ব্যস্ত দিনের চাপ ও ক্লান্তি কমাতে প্রিয়জনকে ফোন দিয়ে কথা বলুন। এতে পারিবারিক সম্পর্কও রক্ষা পাবে এবং একই সঙ্গে আপনার কর্ম ক্লান্তিও দূর হবে।
কথা আদানপ্রদান-
গবেষনায় উল্ল্যেখ করা হয় ক্লান্তি দূর করতে মানুষের সাথে ভাব বিনিময় বা কথা আদানপ্রদান বেশ কার্যকর।
আলসেমীকে প্রশ্রয়-
ঘুম থেকে উঠে ১৫ মিনিট নিজের আলসেমীকে প্রশ্রয় দিন। নিজের জন্য ব্যয় করা এই বাড়তি সময়টুকু আপনাকে তরতাজা করবে।
সুষম খাদ্যগ্রহণ-
কর্মজীবী মানুষের জন্য দিনের প্রথম খাদ্যগ্রহণের ব্যাপারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সকালের নাশতা কার্বোহাইড্রেট, আমিষ ও স্নেহজাতীয় পদার্থ রয়েছে এমন ধরনের খাবার দিয়ে সারুন।
হঠাৎ উপস্থিত হওয়া কাজ-
হঠাৎ করে উপস্থিত হওয়া কাজ অবসাদ বাড়ায়। তাই সারাদিন কী কী কাজ করতে হবে তা বাড়ি থেকে বের হবার আগে জেনে নিন।
কাজের তালিকা-
একদিনে অনেক কাজ থাকতে পারে। এলোপাথাড়ি কাজ করলে দ্রুত অবসাদ ঘিরে ধরে। তাই কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী তালিকা তৈরি করুন এবং তালিকা অনুযায়ী কাজ শেষ করুন।
ধূমপানের ধোঁয়া-
ধূমপানের ফলে ধোঁয়া মস্তিষ্কের টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহে বাধার সৃষ্টি করে। ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে থাকলে ছেড়ে দিন। শুরুতে নিকোটিনের অভাবে শরীরে অস্বস্তি জাগলেও ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যাবে।
অনবরত কাজের চাপ-
অনবরত কাজের চাপ না নিয়ে ‘না’ বলতে শিখুন। অনুরোধে ঢেকি গেলার কাজ যেমন ভালো ফল আনে না, তেমনি তা অবসাদও বাড়িয়ে তোলে।
এক কাপ চা-
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি একেবারেই কেটে যাবে যদি সেটা হয় কড়া লিকার, অসাধারণ ঘ্রাণ আর স্বাদের এক কাপ চা। যা খেলে শরীর তরতাজা হয়ে যাবে নিমিষেই।
নিজের ইচ্ছাশক্তি-
শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করতে নিজের ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।
অবসর কাটান ভালো লাগার কাজগুলো দিয়ে মাঝে মাঝে ছকেবাঁধা জীবনে সামান্য পরিবর্তন নিয়ে আসুন। সেটা হতে পারে খাবার বা কোনো জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে। আপনার জীবনবোধই আপনাকে করবে সতেজ ও অবসাদমুক্ত।